মানব জীবনে ঘটে যাওয়া প্রতিটি কাজ, প্রতিটি ঘটনাপ্রবাহের পিছনে রয়েছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন কারণ। আল্লাহতালা মানুষকে সাধারণ জীব হিসেবে সৃষ্টি করেননি। তাকে সৃষ্টিকুলের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদাপূর্ণ করে বানিয়েছেন। সুতরাং মানুষের ভালো-মন্দ কোন কাজই বৃথা যায় না। আর মানুষ কোন তুচ্ছ জীব নয় যে তার কাজগুলো ভাল বা মন্দ প্রভাব মুক্ত হবে কিংবা লাভ-ক্ষতি শূন্য হবে। যেভাবে মানুষকে শ্রেষ্ঠজীব হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে, ঠিক সেভাবে তার প্রতিটি কাজকেও মূল্যায়ন করা হবে। ভাল কাজ করলে ইহকাল ও পরকালে ভাল প্রতিফল লাভ করবে; মন্দ কাজ করলে মন্দ প্রতিফল ভোগ করবে। সুস্পষ্ট পরিণতি জানার পরও মানুষ ইহজাগতিক সুখ-শান্তি, উন্নতি-সমৃদ্ধি আশা-আকাঙ্ক্ষা, কামনা-বাসনা পূরণে জন্যে, একটু ভাল থাকার নেশায় এমন ভাবে ডুবে যায় যে, কখনো কখনো হালাল- হারাম, পাপ-পূণ্য, ভাল- মন্দের হিসাবটুকুও বাহুল্য মনে করেন। আর তখনি বাধে বিপত্তি। কল্যাণ চাইতে গিয়ে নিজ হাতে অকল্যাণ ডেকে আনেন। উন্নতির জন্য দৌড়ঝাঁপ করতে গিয়ে অবনতির অন্ধকারে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
বাস্তব জীবনে বনি আদমের আশা-আকাঙ্ক্ষা কখনো থেমে থাকে না।কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে বা উদ্দেশ্য ছুটতে ছুটতে কখনো যদি ব্যর্থ হন বা পা পিছলে সামান্য বিপদের সম্মুখীন হন, রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হন, অকারণে দূর্বিপাকে পরে যান কিংবা অবাঞ্ছিত ঘটনার মুখোমুখি হয়ে যান, তখন ছবর না করে, আশা ভঙ্গের যন্ত্রণায় মুষড়ে পড়েন। একটু আগবাড়িয়ে কেউ কেউ পরাক্রমশালী মহান রবের উপর ক্ষোভ দেখানোর দুঃসাহস দেখিয়ে ফেলেন। জীবনের প্রাপ্তিগুলো ভুলে যান এবং রবের দেয়া অগনিত নেয়ামতরাজি ভুলে গিয়ে অকৃতজ্ঞ হয়ে উঠেন। অনেক দ্বীনদার মানুষও জীবনের এ অবস্থায় জাল্লাত বা পদস্খলনের শিকার হয়ে গুনাহের দিকে ধাবিত হন। এ বিষয়ে আমার দেখা কিছু অভিজ্ঞতায় বলতে পারি।
ঘটনা ১: বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এক ভাইকে আমি জানতাম, যিনি আগে খুব ধার্মিক ছিলেন। দ্বীন মানতেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে পড়তেন, কোরআন তেলাওয়াত করতেন, দাওয়াত ও তাবলীগে তিন দিন তিন দিন করে সময় দিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ নামাজ রোজা ছেড়ে দিয়েছেন। কারণ জানতে চাইলে বলেন, গত দুই বছর আগে আমার আব্বা হার্ট এ্যটাক করে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় চলে গিয়ে ছিলেন। তখন তার মেজর অপারেশন হয়েছে। হার্টে কয়েকটি রিং লাগানো হয়েছে। অনেক টাকা খরচ হয়েছে। আমরা পুরো পরিবার অত্যন্ত উদ্বিগ্ন-উৎকন্ঠিত ছিলাম এবং আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। বাবার কিছু হলে পরিবারের হাল ধরবে কে। আমাদের জীবন-জীবীকার কি অবস্থা হবে? কি হবে আমাদের লেখা পড়া?তখন আমি ও আমার ছোট ভাই-বোনদের লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছিল। আমরা অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। পরবর্তীতে জমি বিক্রি করে কিছু টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা হয়েছে। এখনো ঋণের গ্লানি টানছি। এরপর দুই বছর যেতে না যেতে মা গুরুতর অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি আছেন। একের পর এক বিপদ। আল্লাহ আমাদের সাথে কেন এমন করেন? আমাদের মতো Lower Middle Class (নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির) মানুষদেরকে বারবার বিপদে ফেলে তার কী লাভ?
ঘটনা ২: বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাসে এক ভাই আগে কালেভদ্রে নামায পড়তেন। তাবলীগী সাথীদের বয়ান এবং বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে ওলামায়ে কেরাম গণের ওয়াজ নসিহত শুনে দ্বীনের প্রতি বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেন এবং অত্যন্ত মজবুতি ও দৃঢ়তার সাথে দ্বীন মানতে শুরু করেন। একটা সময় তার মনের অবস্থা এমন হলো যে, সবসময় দ্বীনী ফিকির দ্বীনি শিক্ষা নিয়েই ব্যস্থ থাকতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন।দ্বীনী ফিকির অত্যন্ত জরুরি বিষয় তবে ছাত্রজীবনে একাডেমিক পড়াশোনা বাদ দিয়ে নয়। ক্যাম্পাসে তাবলীগের বড় ভই, শিক্ষক এবং মুরুব্বীরা একটা কথা সবসময় বলতেন যে, “জুসে হুশ হারিও না, পড়াশোনায় মনোযোগ দাও। ডিপার্টমেন্টে ভালো রেজাল্ট কর।
এটাই তোমাদের জন্য সবচেয়ে বড় দ্বিনী দাওয়াত”। ভালো রেজাল্ট করলে তোমার কথা সবাই শুনবে এবং অন্যরা তোমাকে অনুকরণ করবে। সুতরাং ছাত্রজীবনে তাবলীগ করবে টুকটাক পড়াশুনা রাখবে ঠিকঠাক। ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর একে একে বন্ধুদের সবার চাকরি হচ্ছিল কিন্তু সে ভাইটি বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলেন। পরিবার থেকেও নিয়মিত ব্লেইম দিচ্ছিল যে তুই ক্যাম্পাসে শুধু তাবলীগই করেছিস পড়াশুনা করিস নি। একদিকে পারিবারিক চাপ আরেক দিকে বন্ধুদের সাফল্য, সবমিলিয়ে ভাইটি অনেকটা মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন এবং হতাশা থেকে এক পর্যায়ে নিজের দ্বীনের পথে চলাকেই চাকরি না হওয়ার জন্য দায়ী করতে শুরু করেন ।
আসলে যারা আল্লাহর পথের পথিক, তারাও বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন। সেটা পথের সমস্যা নাকি পথিকের সমস্যা একটু হিসাব মিলিয়ে দেখা দরকার। মনে করেন আপনার বাড়ির সামনে একটি সুন্দর পথ আছে। সে পথ ধরে মানুষ দিব্যি হেঁটে যাচ্ছেন, ছুটে চলছেন আপন গন্তব্যে। কোন এক দিন সে পথ ধরে আপনি হাঁটতে বেরিয়েছেন। আপনার একটু অসাবধানতার কারণে যদি পা পিছলে পড়ে যান এবং হাত বা পা ভেঙ্গে যায় তাহেলে দোষটা কাকে দিবেন।পথকে না পথিককে (নিজেকে)? আমরাই আমাদের বিপদগুলো নিজের কর্মকাণ্ড দ্বারা টেনে আনি। আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ আল কুরআনে এরশাদ করেন। যা কিছু অকল্যাণ তোমার ঘটে তা তোমার নিজেরই কারণে ঘটে। (নিসা:৭৯)। আল্লাহ তাআলা তার নেক বান্দাদেরকে ঈমানী পরীক্ষা জন্য কখনো কখনো বিপদ দিয়ে থাকেন।
আর সাধরণত তার গুনাগার বান্দাদের গুনাহমুক্ত জীবনের জন্য সতর্কতাস্বরূপ জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে বাঁচানোর জন্য দুনিয়াতে লোগো শাস্তি দিয়ে থাকেন। কুরআন মাজীদের ইরশাদ: মানুষের জন্য তার সামনে ও পেছনে একের পর এক প্রহরী নিযুক্ত আছে। তারা আল্লাহর আদেশে তার হেফাজত করে এবং আল্লাহ কোন সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না সে নিজে নিজ অবস্থা পরিবর্তন করে (রা‘দ : ১১)। আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতার মাধ্যমে মানুষের জন্য সর্বদা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন। নিরাপত্তায় নিয়োজিত ফেরেশতারা মানুষটিকে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপত্তা প্রদান করেন, যতক্ষণ সে আল্লাহ তায়ালার আদেশ ও নিষেধের চৌকাঠ অতিক্রম না করে তার সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে ।
যখনই মানুষটি সীমালংঘন করেন, অবাধ্যতায় লিপ্ত হন, শরীয়তের আদেশ-নিষেধ অমান্য করেন, আল্লাহর বিধান থেকে গাফেল হন, গুনাহে লিপ্ত হন। তখন নিরাপত্তায় নিয়োজিত ফেরেশতাগন সরে যান এবং আজাবের ফেরেশতা নাযিল হন।তখন বান্দার গোনাহসমূহের মধ্য থেকে কোন কোন গোনাহের জন্য অপরাধের মাত্রা অনুপাতে নগন্য শাস্তি প্রদান করেন। যেন সে সতর্ক হয় এবং গুরু শাস্তি (জহান্নামের শাস্তি)থেকে বেঁচে যান। মানুষ যখন বিপদাপদে পতিত হয় তখন সে অসহায় হয়ে পড়ে, ঐ সময় আল্লাহ মহানের দিকে ফিরে আসা তার জন্য আবশ্যক আর এটিই মুমিনের গুণ। আর এ অবস্থাতেও আল্লাহর দিকে ফিরে না আসতে পারা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের লক্ষণ। বিপদে পরে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করতে না পারা, এটা যেন আপতিত বিপদের চেয়েও বড় বিপদ। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে: অতঃপর যখন তাদের কাছে আমার (পক্ষ হতে) সংকট আসল, তখন তারা কেন অনুনয়-বিনয় করল না? বরং তাদের অন্তর আরও কঠিন হয়ে গেল এবং তারা যা করছিল তাদের কাছে শয়তান তা শোভনীয় করে দিল। -সূরা আনআম, (৬) : ৪৩। সবর, ইমানের দৃঢ়তা, কৃতজ্ঞতা বোধ, মনের ভেতর খওফ সৃষ্টি ও আল্লাহ অভিমুখিতা ছাড়া বিপদ মুক্তির ব্যবস্থা মুমিন ব্যাক্তির জন্য শুভ পরিণতি বয়ে আনতে পারে না।
বিপদে আল্লাহর নেয়ামতের কথা বেশি বেশি স্মরণ করা দরকার।
চোখ বন্ধ করে জীবনের প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির হিসাবগুলো মিলাতে গেলে দেখা যাবে, মানুষের জীবনে অপ্রাপ্তির তুলনায় প্রাপ্তির সংখ্যা বেশি। বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ২১ থেকে ২৬ লক্ষ শিশু জন্মগ্রহণ করেন। আপনি যে বছর জন্মগ্রহণ করেছেন হয়ত সে বছরও প্রয় ২১ লক্ষ থেকে ২৬ লক্ষ শিশু জন্মগ্রহণ করেছিল। তাদের মধ্যে বর্তমানে কতজন বেঁচে আছেন। দুঃখে থাকেন কিংবা সুখে থাকেন বেঁচে তো আছেন। যিনি সুবিশাল আকাশ, বিস্তৃত জমিন, চাঁদ- তারা, গ্রহ-নক্ষত্রের মাঝে আপনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। মমতময়ী মায়ের মমতা আদর, সোহাগ আর ভালবাসা ,বটবৃক্ষের ন্যায় আগলে রাখা, নিঃস্বার্থে সবকিছু বিলিয়ে দেয়া,পিতার স্নেহ- ভালবাসা,আশা – ভরসা আর পরম নির্ভরতা, ভায়ের দুষ্টমি বোনের খুনসুটি, প্রেয়সীর অস্ফুটস্বরে তীব্র ক্ষোভ আর অভিযোগ অনুযোগুলো বলার আগেই না কিছুনা বলে ফিক হাসিতে থেমে যাওযা। সন্তানের চক্ষু শিতল আবেগঘন সম্মোধন, হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা, কোলে বসে নিষ্পাপ হাত দিয়ে চক্ষে মুখে নূরের পরশ বুলিয়ে দেয়া,আব্বু আম্মু বলে চিৎকার করে এসে গলায় জড়িয়ে ধরার মতো সুখানুভূতিগুলোর মাঝে যিনি আপনাকে এখনো বাঁচিয়ে রেখেছেন তার কি শুকরিয়া আদায় করেছেন!!
অথবা মনে করেন বিশ বছর, ত্রিশ বছর বয়সে এসে অথবা জীবনের যে কোন একটি পর্যায়ে এসে আপনি আপনার মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী, মহব্বত ও ভালোবাসার মানুষ কাউকে হারিয়ে দুঃখিত, ব্যথিত এবং দুর্বিপাকে পড়ে গিয়েছেন। অথবা শারীরিক, আর্থিক অথবা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। একটু চিন্তা করে দেখেন তো মা-বাবা, স্বজন হারানোর বেদনা আপনার জীবনে কতবছর পরে এসেছে, কতবার এসেছে, আর কত বছর তাদের আদর সোহাগ মায়া মমতা ভোগ করেছেন?অথবা ব্যবসায়িক, শারীরিক কিংবা মানসিকভাবে আপনি যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তা কতবার এবং কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর তা দ্বারা কতটুকু উপকৃত হয়েছেন? জীবনের এই পর্যায়ে এসে মা বাবা ও স্বজনদের কাছ থেকে, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে এবং শারীরিক বা মানসিক যে উপকার ভোগ করেছেন তার জন্য মহান রবের দরবারে কি শুকরিয়া আদায় করেছেন?
এ ভাবে জীবনের প্রাপ্তিগুলো হিসেব করলে দেখা যাবে, যে জীবনে অপ্রাপ্তির তুলনায় প্রাপ্তি, দুঃখ-বেদনার তুলনায় আনন্দ, বিপদ-আপদ ও অনিরাপদ জীবনের তুলনায় নিরাপদ জীবন উপভোগ করার সংখ্যা ও পরিমাণ বেশি। সুতরাং বিপদে ভেঙে পড়া নয় বরং কৃতজ্ঞতাবোধ জাগ্রত করা,
নিজের পাপ পঙ্কিংলতা থেকে মুক্তির আশায় তওবা করা, আল্লাহর দেওয়া অসংখ্য নিয়ামতরাজি এবং তার অনুগ্রহের জন্য অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। কুরআনে আল্লাহ বলেন- যদি তোমরা আমার (নিআমতের জন্যে) কৃতজ্ঞ হও, তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের আরও বাড়িয়ে দেব। আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও তাহলে সন্দেহ নেই, আমার শাস্তি অত্যন্ত কঠিন। -সূরা ইবরাহীম (১৪): ৭।
কৃতজ্ঞতাবোধ আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক প্রকার বিশেষ নিয়ামত। কৃতজ্ঞ ব্যক্তি দুনিয়াতে লাভ করেন আত্ম প্রশান্তি, স্বর্গ সুখ এবং আখেরাতে তার জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী সফলতা। তাই তো পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা এ দুআ শিখিয়েছেন
رَبِّ اَوْزِعْنِیْۤ اَنْ اَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِیْۤ اَنْعَمْتَ عَلَیَّ وَ عَلٰی وَالِدَیَّ…
প্রভু আমার! আপনি আমাকে তাওফীক দান করুন, যেন আমি আপনার ওইসব নিআমতের কৃতজ্ঞতা আদায় করতে পারি, যা আপনি আমাকে দান করেছেন, আমার বাবা-মাকে দান করেছেন…। -সূরা আহকাফ (৪৬) : ১৫
Some text
ক্যাটাগরি: Uncategorized