মঙ্গলবার রাত ১:০১, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ খবর:
বন্যার্তদের জন্য জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আলোচনাসভা ও দোয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া আয়কর আইনজীবী সমিতির অভিষেক ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত ২৮ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা একাডেমিতে ‘মাতৃভাষা উৎসব’ ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বোর্ড নির্বাচন অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পোস্টারে লেমিনেশন ও পলিথিন ব্যবহাররোধে স্মারকলিপি ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর জাতীয় পার্টি: চুন্নু মাতৃভাষা একাডেমিতে কবিতা আড্ডা অনুষ্ঠিত হোমিওপ্যাথিক হেলথ এন্ড মেডিকেল সোসাইটি ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়া সম্মেলন অনু‌ষ্ঠিত ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়ার বিখ্যাত বাইশমৌজা বাজার ও গরুর হাট ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়ায় তরুণ আলেমদের ২য় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত তরুণ আলেমদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ইসলাম তরবা‌রির জো‌রে প্রতি‌ষ্ঠিত হয়‌নি: আলেমদের সঙ্গে মোকতা‌দির চৌধুরী

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কি ঘাতকদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছেন?

১৬৯ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘লোক জড়ো করুক, আর যা–ই করুক, আমি আপনাদের একটা অনুরোধ করি, এমন কিছু করবেন না যে আপনাদের (আওয়ামী লীগ) জীবন বিপন্ন হয়। এ দেশের পাবলিক এখনো আপনাদের গ্রহণ করতে আসেনি। আমি বরং মনে করি, আপনারা আপনাদের পার্টি রি–অর্গানাইজ (পুনর্গঠন) করুন।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত আনসার সদস্যদের সিএমএইচ-এ দেখতে গিয়ে আজ সোমবার সকালে এম সাখাওয়াত হোসেন এ কথা বলেন। সূত্র: প্রথমআলো, ১২ আগস্ট, ২০২৪।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলছি আপনি কি আপনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য? আওয়ামী লীগকে পরামর্শ দেয়ার আপনি কে? বিগত ১৬ বছর যাবৎ পরামর্শ দিয়ে যারা এ দলটিকে ঘাতক দৈত্য বানিয়েছিল তারা কোথায়? আওয়ামী লীগ কি করবে-কি না করবে সে সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক আপনি নয়।

এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিয়ষক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার বিরুদ্ধে ২টি সুস্পষ্ট দূর্নীতির অভিযোগ আছে। তার দূর্নীতি নিয়ে ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর বাংলানিউজ ২৪ ডটকমে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।

সে রিপোর্টে বলা হয়, সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ভিয়েতনামের বর্তমান রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমার বিরুদ্ধে তদন্তে অগ্রগতি নেই।

মামলার চার্জশিট একবছরেও হয়নি । চার্জশিট দেয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে রোববার দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে একাধিক মিডিয়ায় তিন চারদিনের মধ্যে চার্জশিট দেয়া হচ্ছে বলে নিউজ প্রকাশিত হয়।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশিট গঠনের জন্য কমিশনের কাছে অনুমোদন চাইবেন। এরপর কমিশন যাচাই-বাছাই করে চার্জশিট দেয়া প্রয়োজন মনে করলে চার্জশিট দেবেন। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

২০১১ সালের নভেম্বর মাসে দুদকের সহকারি পরিচালক মো. মাহাবুবুল আলম বাদী হয়ে সুপ্রদীপ চাকমার বিরুদ্ধে রমনা থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন। দুদক সূত্রে জানা যায়, মামলার পর দীর্ঘ অনুসন্ধানে সুপ্রদীপ চাকমার বিরুদ্ধে অনিয়ম এবং অর্থ আত্মসাতের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।

চার্জশিটের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে এর তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, অনুসন্ধানের পর বিষয়টি তদন্তের অধীনে রয়েছে। চার্জশিটের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

মামলার বিবরণ এবং অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায়, ভিয়েতনামে যাবার আগে তুরস্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘মিনিস্টার’ হিসেবে দায়িত্বরত অবস্থায় এ রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, তুরস্কে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার সুপ্রদীপ চাকমা বর্তমানে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত এবং তুরস্ক দূতাবাসের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা মশিউর রহমান উভয়ের যোগসাজশেই তুরস্কের বাংলাদেশ দূতাবাসের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৭ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার (১২ লাখ ৩০৬ টাকা), কল্যাণ তহবিলের পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার (তিন লাখ ১৮ হাজার ৯২৫ টাকা), তিন হাজার ৭৬৪ দশমিক ৩৯ তুর্কি লিরাসহ (দুই লাখ পাঁচ হাজার ২৩৫ টাকা) মোট ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৭৬ টাকা আত্মসাৎ করেন।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে কোনো ধরণের বিল ভাউচার দেখাতে পারেননি সুপ্রদীপ চাকমা। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা ছাড়াও সুপ্রদীপ চাকমার বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করে দুদক। গাড়ি আনার কথা উল্লেখ করে তিনি দুই লাখ ১৯ হাজার ২০০ টাকা উত্তোলন করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে সুপ্রদীপ চাকমাকে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ২০০৭ সালে এ কূটনৈতিককে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বরত। সূত্র: বাংলানিউজ-২৪ ডটকম, নভেম্বর ৪, ২০১২।

শেখ হাসিনার অনুগত ও সুবিধাভোগীরাই যদি অন্তবর্তি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পায় তাহলে জুলাই মাসের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যূত্থানে এতো মানুষ কেন অকাতরে প্রাণ দিলেন?

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে তিনি ১/১১ ও আওয়ামী ঘাতকদের আবারো পুনর্বাসনের মিশন হাতে নিয়েছেন। কারণ তিনি নিজেও ১/১১ সরকারের একজন টপ লেভেলের বেনিফিশারী। সে সরকারের আমলে তিনি নির্বাচন কমিশনার ছিলেন।

তিনি প্রথম আলো-ডেইলি স্টার মিডিয়া গোষ্ঠী, আওয়ামী লীগের অন্ধ সমর্থক সুশীলদের সবচেয়ে বড় সহযোগী। এ মিডিয়া গ্রুপের সাথে ইন্ডিয়ান গোয়েন্দার লোকদের সখ্যতা আছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হয়। এমন বিতর্কিত মিডিয়া গ্রুপের ঘনিষ্টজন সরকারের উপদেষ্টা থাকা বিপদজনক।

মি. শাখাওয়াত হোসেন-এর বিরুদ্ধে দূর্নীতির সুস্পষ্ট অভিযোগ আছে। ২০০৩ সালে তিনি বান্দরবানের জিওসি থাকাকালে তার বিরুদ্ধে গম কেলেঙ্কারীর অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগের পর সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ তদন্তে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। তাকে ডিসমিস করার ফাইল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে গেলে সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বরখাস্ত না করে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠান।

অন্তবর্তি সরকারের উপদেষ্টা হয়ে তিনি আবার নানা বিতর্কিত কান্ডকীতি শুরু করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, ১৫ আগস্ট ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি কি একাই এসব সিদ্ধান্ত নেবেন?

ঘাতক সরকারের গুলিতে নিহত লোকদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। সবকিছু যদি ঠিকটাক আগের মতোই চলে তাহলে দেশের ইতিহাসের এতো বড় একটা গণবিপ্লব কেন হল? শুধুমাত্র শেখ হাসিনা তার প্রাণ বাঁচানোর জন্য সরে গিয়েছেন। তার অপকর্মের সহযোগী ঘাতকরা কেউ পলাতক কেউ প্রকাশ্যে থেকে দেশে পুরোদমে সাবোটাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের পলাতক নেতারাই মূলত সংখ্যালঘু নির্যাতনের নাটক সাজিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বোদ্ধা মহলের পক্ষ থেকে বিষয়টি সম্পর্কে বার বার সরকারকে সতর্ক করার পরও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ চোঁখে পড়ছে না।

এ দেশের গণমানুষ দূর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে বিপ্লবী সরকারের উপদেষ্টা পদে দেখতে চায় না। দূর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত উপদেষ্টাদের উচিত হবে কোনো বিশৃঙ্খলা না করে নিজ উদ্যোগে স্বসম্মানে পদত্যাগ করা। পদ আকড়ে থাকতে চাইলে জটিলতা বাড়বে।

দূর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কেন দেশের পরিবর্তনের জন্য দায়িত্ব হাতে নেয়া সরকারের উপদেষ্টা পদে থাকবে? সরিষায় ভূঁত থাকলে ভূঁত তাড়াবে কে? দেশে কি উচ্চশিক্ষিত, সৎ, মেধাবী লোকজনের অভাব পড়েছে?

সরকার দায়িত্ব নিয়েছে গত ৮ আগস্ট। নোবেল লরিয়েট ড. মোঃ ইউনুস আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করতে তার বিকল্প নেই।

আওয়ামী সরকারের সরকারি চাকরিতে বৈষম্য, গুম, অপহরণ, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অরাজকতা, রাজনৈতিক বিরোধীদের চরম ভাবে দমন-পীড়ন ও দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচারের বিরুদ্ধেই মূলত গণ অভ্যূত্থান হয়েছিল। গণবিপ্লবের মাধ্যমে গঠিত অন্তবর্তি সরকারের দূর্নীতিবাজ ও ঘাতকের সহযোগীরা আশ্রয় নেবে এটা খুবই দূর্ভাগ্যজনক।

ইংরেজীতে একটা কথা আছে Time and tide wait for none সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না।  সময় কিন্তু দ্রুত চলে যাচ্ছে। সরকারকে অবশ্যই লুটেরা আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে হবে। আমরা বার বার বলেছি পলাতক আওয়ামী নেতাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন না নিলে স্যাবোটাজ ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের নাটকগুলো বন্ধ হবে না।

দুর্ভাগ্যজনক যে, পলাতক আওয়ামী লুটেরা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এ যাবৎ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নজরে আসেনি। গণঅভ্যূত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হকিস্টিক, রাম দা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলাকারী ঘাতকরা এখনো নির্বিঘ্নে পলাতক আছে। পলাতক ঘাতকরা এখন সারাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের নাটক সাজাচ্ছে। লুটেরা সরকারের অন্যতম সহযোগী এস.আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ৬ কর্মচারীকে গুলিবিদ্ধ করেছে।

১১ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন, শফিউল্লাহ, আবদুল্লাহ আল মামুন, আব্দুর রহমান, বাকিবিল্লাহ। অন্য দুই জনের নামপরিচয় জানা যায়নি। আহতরা সবাই বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘদিন দখলে থাকা এস আলম গ্রুপের ভাড়াটে লোকজন এ গুলি করেছে। তারা গুলি করে পালিয়ে গেছেন। সূত্র: ঢাকাপোস্ট, ১২ আগস্ট, ২০২৪।

ব্যাংকে সশস্ত্র হামলা চালানোর দুঃসাহস এদের হয় কি করে? এসব ঘটনাকে হালকা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।

২০০৯ সালে আওয়ামী সরকারের আমলে সংঘটিত ৫৭জন সেনা অফিসারদের নারকীয় হত্যাকান্ড। শাপলা চত্বরের গণহত্যা। বিডিআর বিদ্রোহের বিচারের নামে ৫৬ জন বিডিআর জওয়ানকে রিমান্ডে নিয়ে নৃশংস নির্যাতন করে হত্যাকান্ডের ঘটনাগুলো কি এখনো চাপা পড়ে থাকবে?

গণমানুষ প্রত্যাশা করেছিল এ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর খুবই দ্রুত গতিতে এসব হত্যাকান্ডের পুনরায় সঠিক তদন্তের উদ্যোগ নিয়ে দোষীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবে। কিন্তু সেটাতো দেখা যাচ্ছে না। উল্টো এসব জঘন্য মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িত ক্রিমিনালরা অপকৌশলের মাধ্যমে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ পাচ্ছে।

সেনা অফিসার হত্যাকান্ডের অন্যতম অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ও শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে পতিত ঢাকা দক্ষিণ সিটির ভোটারবিহীন মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস। এরা দু’জনই বর্তমানে পলাতক। দুনিয়ার যে দেশেই থাকুক না কেন পলাতক এসব ঘাতকদের যে কোনো মূল্যে খূঁজে বের আটক করা দরকার।

দেশের বিগত ১৬ বছরের দুর্যোগের জন্য ২০০৭ সালের কথিত ১/১১ সরকার বহুলাংশে দায়ী। সে ১/১১ সরকারের সুবিধাভোগিরা এ সরকারের উপদেষ্টা হয়ে খুনি-ঘাতকদের পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করবেন-সেটা মেনে নেয়া যায় না।

দেশ ও দেশের গণমানুষের পক্ষে সাংবাদিকতা-লেখালেখি করার কারণে ২০০৯ সালের ১১ জানুয়ারি আওয়ামী পান্ডারা অসুস্থ অবস্থায় আমার ওপর হামলা করেছিল। ২০১৮ সালের ভুয়া নির্বাচনের আগে আওয়ামী পান্ডারা পুলিশ দিয়ে আমাকে ডাকাতের মতো আটক করায়। আমি পুরো ১ বছর জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। আমাদের বিন্দুমাত্র ব্যক্তি, গোষ্ঠী কিংবা কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ নেই। আমরা সবসময় দেশের ভাল চাই। অপশাসনের পতনের পর দেশটা যাতে ভাল ভাবে পরিচালিত হয় সেটা গণমানুষের মতো আমাদেরও কাম্য।

২০০৭ সালের ১/১১ সরকার ও ১৬ বছরের আওয়ামী অপশাসনের সবকিছু আমাদের নখদর্পণে। ঘাতকের সহযোগী, অনুচর, সুবিধাভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কে কোথায় আছেন সবই আমরা জানি। অপশাসনের সহযোগীরা কোনো ছাড় ও মার্জনা পেতে পারে না। তারা কোনোরকম ছাড় কিংবা মার্জনা পেলে শত শত শহীদের আত্মা কষ্ট পাবে।

Some text

ক্যাটাগরি: Uncategorized

Leave a Reply

সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার আসামী…

১৬ বছরের অপকর্ম ধামাচাপা দিতেই…

সেনাবাহিনী নিয়ে কিছু জরুরি কথা