১. পৃথিবীতে ইহুদি জাতির যাত্রাটা শুরু হয়েছিল মহিমান্বিত মানব হযরত ইউসুফ (আ.)-এর হাত ধরে। তিনি তাঁর সকল ভাইদেরকে পরিবারসহ মিশরের পবিত্র ভূমিতে নিমন্ত্রণ করেন। তারা নিমন্ত্রণে এসে বসতি স্থাপন করে। জীবনের যাত্রা শুরু করে ভিন্ন মাত্রায়। ক্রমাগত গোত্র সদস্য বাড়তে থাকে। এক সময় তাদের জনগোষ্ঠী গোটা মিশরের হুমকি হয়ে দাড়ায়। ফলে তৎকালীন সময়ের বাদশাহ তাদের পুত্র সন্তানদের কে হত্যা করে। পুরুষদেরকে দাস বানিয়ে রাখে। মানবাধিকার লুন্ঠন করে।
২. ইসরাইলি জাতিগোষ্ঠীর সন্তান মুসা আল্লাহর নবি হন। এ এক বিস্ময়কর কাহিনি! হযরত মুসা (আ.) তাগুতের বিরুদ্ধে নবুয়াতের দায়িত্ব পালন করেন দৃঢ়তার সাথে। ভাঙতে থাকে ফেরাউনের কুফরি ও দাসত্বের জঞ্জাল। অবস্থাক্রমে আল্লাহর হুকুম পেয়ে তিনি তাঁর ইসরাইলি বার গোত্রের সকল নারী -পুরুষদেরকে নিয়ে নীলনদ পাড়ি দিয়ে মিশর ছাড়েন। সে-ই থেকে তারা আস্তে আস্তে পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
৩. বিভিন্ন দেশে ইসরাইলি জাতিগোষ্ঠীর বসবাস, সভ্যতা,সংস্কৃতি ও স্বজাতীয় প্রীতি সে দেশের জাতীয়তাকে ব্যাপক ভাবে আঘাত হানে। যা ভয়াবহ হত্যা যজ্ঞের রুপ নেই। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে জার্মানে এডলফ হিটলার কর্তৃক ষাট লাখ ইহুদি হত্যা। অনেক ইহুদি প্রাণে বেঁচে উদ্বাস্তু জীবন নিয়ে ফিরে আসে আরবের উর্বর ভূমি ফিলিস্তিনে। উত্থান পতনের নানা ইতিহাস পেরিয়ে ভাগ্য তাদেরকে নিয়ে আসে ফিলিস্তিনের উর্বর ও স্নিগ্ধ প্রান্তরে; তারপর ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনিদের উপর ক্রমশ হয়ে উঠে উদ্যত অকৃতজ্ঞ। আশ্রয়ীরা বনে যায় দখলদার হিংস্র দানবে! দখল করতে থাকে ফিলিস্তিনিদের বসত-ভিটা। প্রতিনিয়ত হত্যা করতে থাকে ফিলিস্তিনি মুসলিম শিশু। অবাধ্যতা, বিশ্বাসঘাতকতা যাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে তারা কি বসে থাকতে পারে? আজ অব্দি আল কুদসের বারান্দায় মুসলিম নিধনকর্ম অব্যাহত।
আমানুল্লাহ মুর্তজা
শিক্ষক, উমর ফারুক র. ক্যাডেট মাদরাসা
কোনাবাড়ি, গাজিপুর
Some text
ক্যাটাগরি: Uncategorized