গীতি গমন চন্দ্র রায়: ঠাকুরগাঁও সদর জেলা সদরে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত হয়েছে। নারী উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) নারী উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে সে সময় বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করা হয়।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের গোবিন্দনগর ওরাওপাড়া নিজস্ব কার্যালয় হতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে সমাপ্তি হয়।র্যালি শেষে নারী ঐক্য উন্নয়ন সংঘ’র নির্বাহী পরিচালক দীপালী খালকো দীপার সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন,নারী ঐক্য উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক খুকু খালকো,সহ-সাধারণ সম্পাদক সাথী আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্রিজিতা তীরকিসহ সংগঠনটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। তাছাড়া ও বেশ কয়েকটি সংগঠনের সভাপতি- সম্পাদকসহ সদস্যরা আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা ও বক্তব্য শেষে আদিবাসীদের প্রতিষ্ঠানের পাশেই ওরাও পাড়ার নারী পুরুষেরা নাচে ও গানে মেতে উঠে। মনোমুগ্ধকর পরিবেশে তাদের নৃত্য উৎসবের আমেজ আরও বাড়িয়ে তোলে আদিবাসী দিবস কে।সেসময় নারীরা রংবেরঙের শাড়ি পড়ে বাদ্যের তালে বিভিন্ন নৃত্য পরিবেশন করে।এবং নৃত্যানুষ্ঠানে বিভিন্ন গ্রামের আদিবাসী নারীরা একত্রিত হয়ে নাচে গানে মিলিত হয়ে তাদের এ অনুষ্ঠান উপভোগ করতে আশপাশের এলাকার মানুষ ছুটে আসেন।
ঠাকুরগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস প্রতি বছর ৯ আগস্ট পালন করা হয় বিশ্বজুড়ে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর স্বর্থ ও অধিকার রক্ষার জন্য এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়ে থাকে।আদিবাসী সম্প্রদায়ের অবদান ও অর্জনকে স্বীকৃতি দিতে এই দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেন জাতিসংঘ।প্রতি বছর দিবসটি পালন করার জন্য একটি প্রতিপাদ্য বিষয় বেছে নেয় জাতিসংঘ।এ বছর আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘ঐতিহ্যগত জ্ঞান সংরক্ষণ ও বিকাশে আদিবাসী নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’।
এটি নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আদিবাসী সম্প্রদায়ের নারীরা যে ভূমিকা পালন করেন,তার ওপর জোর দেয়।১৯৮২ সালের ৯ আগস্ট জেনেভায় জাতিসংঘের বৈঠকের পর জাতিসংঘ কর্তৃক আদিবাসী জনসংখ্যা সংক্রান্ত প্রথম ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হয়।বৈঠকে জাতিসংঘের সংস্থাকে আদিবাসীদের অধিকার সংক্রান্ত ঘোষণাপত্রের খসড়া তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়। জাতিসংঘের তথ্যমতে,বিশ্বের ৭০টি দেশে ৩০ কোটি আদিবাসী বাস করে, যাদের অধিকাংশই অধিকারবঞ্চিত। অনেক দেশে আদিবাসীরা স্বীকৃতিই পায়নি।কোনো দেশে উপজাতি,কোনো দেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বলে তাদের অভিহিত করা হয়। পরিশেষে শান্তি শৃঙ্খলার মধ্যে সমাপ্তি হয়।
Some text
ক্যাটাগরি: Uncategorized