চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস নামের সমস্যার সঙ্গে আমরা সবাই কম-বেশি পরিচিত। এটি একটি ভাইরাসজনিত সমস্যা। কোনো কোনো সময় বা মৌসুমে একসঙ্গে অনেক মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হন। কারণ, এটি সংক্রামক রোগ।
উপসর্গ: বেশির ভাগ সময় দুই চোখ লাল হতে দেখা যায়। তবে এক চোখেও হতে পারে।
চোখে পুঁজের মতো জমা হয়, ঘুম থেকে উঠলে অনেক সময় চোখের পাতা লেগে থাকতে দেখা যায় এবং চোখ থেকে পানি ঝরে।
চোখ জ্বালাপোড়া করে।
চোখে খচখচ ভাব, অস্বস্তি হয়।
হালকা ব্যথা ও ফটোফোবিয়া বা রোদে তাকাতে অসুবিধা হতে পারে।
চিকিৎসা:
সাধারণ চোখ ওঠা এক থেকে তিন সপ্তাহে সেরে যায়। চোখ উঠলে যা করবেন—
ঠান্ডা বা সর্দির মতো উপসর্গ থাকলে কেবল অ্যান্টিহিস্টামিন সেবনই যথেষ্ট।
অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ডোজ মেনে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে চক্ষুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া চোখে ওষুধ ব্যবহার না করাই উত্তম।
সতর্কতা:
চোখে পিঁচুটি জমলে হালকা নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে বা পানির ঝাপটা দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা যেতে পারে। তবে কোনোমতেই চোখ রগড়ানো যাবে না।
কালো চশমা রোদে বা আলোতে কিছুটা স্বস্তিদায়ক হয়। তাই বাইরে বেরোলে কালো চশমা পরুন।
চোখে কোনোমতেই হাত দেওয়া যাবে না।
একজনের ব্যবহার করা রুমাল, গামছা, তোয়ালে বা কাপড়চোপড় অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না।
হাত সব সময় সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে।
জনসমাগম, অনুষ্ঠান, ক্লাস ইত্যাদি পরিহার করে চলাই ভালো। এ সময়টায় অনেক শিক্ষার্থীর ক্লাস চলছে। চোখ ওঠা নিয়ে ক্লাসে উপস্থিত না হওয়াই ভালো। তবে পরীক্ষা থাকলে ওপরের নিয়মগুলো যথাযথভাবে মেনে স্কুলে যাওয়া যাবে। অবশ্যই কালো চশমা পরে থাকতে হবে এবং অন্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করা যাবে না।
ডা. মো. ছায়েদুল হক, চক্ষুবিশেষজ্ঞ, সাবেক সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
সূত্র: প্রথম আলো
Some text
ক্যাটাগরি: Uncategorized