ছন্দময় খেলা মানেই বিশ্বকাপ ফুটবল! এই আসরে খেলোয়াড়দের ছন্দ ও গতিময় নৈপুণ্যশৈলী ছিল এক সময়। আর ফুটবলারদের ক্রীড়াকুশলী দৃষ্টিনন্দন কাজের জন্য বিশ্বকাপ ফুটবল বেশ জনপ্রিয়। নানা মহাদেশের বাছাই করা ফুটবল দলগুলি নিয়ে প্রতি চার বছর অন্তর বিশ্বকাপ ফুটবলের বর্ণাঢ্য আসর বসে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, সাম্প্রতিক সময়ে সেই নান্দনিক বিশ্ব ফুটবল খুব একটা দেখা যেচ্ছে না। আগেকার ফুটবলারদের থ্রো-ই, গোল কিক, কর্ণার কিক, ফ্রি কিক, পেনান্টি কিক, ড্রিবলিং, সতীর্থের কাছে বল পাস, শট পাস, লং পাস ইত্যাদি ছিল মনে রাখার মতো। ৯০ মিনিটের এই খেলায় খেলোয়াড়দের এসব কলাকৌশল দেখে দর্শকরা আনন্দে উল্লাসীত হতো। আহ্লাদে তাদের মন ভরে যেতো। বলে রাখা ভালো যে, প্রতিপক্ষকে আঘাত না করে বা কোনো ধরনের বাককিতন্ডতায় না জড়িয়ে খেলোয়ারা তাদের ছন্দময় খেলা সম্পন্ন করতো। তবে বর্তমানে সেই ছন্দময় খেলা তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। ব্যাপারটি সত্যিই খুব দুঃখজনক।
বস্তুত ফুটবল পা ও বলের খেলা। কাউকে আঘাত না করে এবং ৪/৫ খেলোয়াড়কে বোকা বানিয়ে অতি ক্ষিপ্রতার সাথে ডি-বক্স পার হয়ে গোল দেওয়ার মধ্যেই ফুটবলের নন্দনিকতা লুকিয়ে রয়েছে। এছাড়াও আরো অনেকদিক রয়েছে। বিশ্ববিখ্যাত ফুটবলার ইয়োহান ক্রইফ এর মতে, ফুটবল এখন একক খেলা নয়, এটা এখন সমষ্টিগত খেলা। নেদারন্যান্ডসের এই খেলোয়াড়কে টোটাল ফুটবলের জনক বলা হয়। সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের তালিকায় তার নামটি বহুলভাবে উচ্চারিত হয়। নেদাল্যান্ডের হয়ে ৪৮ টি ম্যাচে তিনি ৩৩ টি গোল করেছেন। ধাক্কাধাকি ও পেশিশক্তির অপব্যবহার তিনি মোটেই পছন্দ করতেন না। কিন্তু বর্তমানে ফুটবল হাঁটছে উল্টো পথে। এখন এই বল করায়ত্ত করতে বেশি হচ্ছে ধাক্কাধাক্কি ও পেশিশক্তির অপব্যবহার! বল নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে খেলোয়াড়দের পেশিশক্তির ব্যবহার বা অসদাচরণ বিশ্বকাপ ফুটবলেও বেশ লক্ষণীয়।
১৯৩০ সাল থেকে শুরু হওয়া চার বছর পরপর বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের ২২ তম পর্ব এবারের বসেছিল মধ্যপ্রাচ্যের ছোট দেশ কাতারে। বিশ্বকাপ আয়োজন করার জন্য কাতার অর্থ ঢেলেছে প্রায় ২২ হাজার কোটি ডলারের বেশি। আগের ২১ তম আসরের স্বাগতিকেরাও এত অর্থ খরচ করেনি। এই আসর শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর এবং শেষ হয় ১৮ ডিসেম্বর। এই আসরে শুরু থেকে ফাইনাল পর্যন্ত মোট ৬৪ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোটামুটি প্রায় সব ম্যাচই আমি দেখেছি বেশ মনোযোগের সঙ্গে। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার দর্শক হিসেবে আমার পর্যবেক্ষণের ফল মোটেই সুখকর নয়! বিশ্ব ফুটবলের তারকা খেলোয়াড়রাও তাদের সেরা নৈপুণ্য দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ক্রীড়াশৈলীর চেয়ে ফুটবলারদের দৃষ্টিকটু পেশিশক্তি এবং খারাপ আচরণই আমার চোখে বেশি পড়েছে।
এবারের বিশ্বকাপের শুরুর চমক হয়ে এসেছিল আরবেরই আরেক দেশ সৌদি আরব।`সি` গ্রুপের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ২-১ গোলে হারিয়ে এবারের আসরের অঘটনের জন্ম দিয়েছিল। সেই অঘটনের রেশ থাকতেই জাপানের কাছে হারে চারবারের বিশ্বসেরা জার্মানি। জাপানের কাছে হারে স্পেনও। দুই বিশ্বসেরার গ্রুপ থেকে এশিয়ার কোনো দল গ্রুপসেরা হয়ে উঠবে, সেটা কেউ কখনো কল্পনাও করেনি। কম যায়নি দক্ষিণ কোরিয়াও। পর্তুগালকে হারিয়ে গ্রুপ পর্বের বাধা টপকেছে তারাও। বিশ্বকাপের সবচেয়ে পাগলাটে আর রোমাঞ্চকর গ্রুপ পর্ব হয়েছে কাতারে। জার্মানি, বেলজিয়ামের মতো দল দেশে ফিরেছে নকআউট খেলতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে। ব্রাজিলের মতো ফেবারিট দল শেষ আটে খেলার সমাপ্তি টানে।
কাতারকে হয়তো দর্শকরা বেশি মনে রাখবে ছোটদের বড় হয়ে ওঠার বিশ্বকাপ হিসেবে। স্পেন-ব্রাজিল,পর্তুগালের মতো দল যা পারেনি, তা করে দেখিয়েছে আফ্রিকার ছোট এক দেশ মরক্কো।
দীর্ঘ ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনা ৪-২ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি জিতে নিয়েছে। তবে সবাইকে হতবাক করে, পরাজিত হয়েও ফাইনালে হ্যাটট্রিক করে সেরা গোলদাতা হিসেবে সোনালি বুট জিতে নিয়েছে ফরাসী খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবিপ্পে ! দুঃখজনক ব্যাপার হলো, ফ্রান্সেরই আরেক বিশিষ্ট ফুটবলার করিম বেনজেমা ফর্ম তুঙ্গে থাকার পরও ইনজুরির কারণে এবারের আসরে আসতে পারনি। করিম বেনজেমা থাবলে হয়তো বা ফলাফল উল্টো হতো। এই বারের বিশ্বকাপে আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল ভিএআর বির্তক। অফসাইড বা হ্যান্ডবলের কারণে বাতিল হয় বিভিন্ন দলের গোল। প্রযুক্তির বদৌলতে বাতিল হওয়া অফসাইড বা হ্যান্ডবলগুলি ধরা পরেছে। খালি চোখে সব অফসাইড বা হ্যান্ডবল ধরা একেভারেই অসম্ভব। এখন থেকে ফুটবল খেলাকে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তবে এই প্রযুক্তি জন্য এবারের আসরে কিছু কিছু দল তাদের কাঙ্খিত ফলাফল নিতে পারেনি। এবারের বিশ্বকাপ আসরে বিভিন্ন দলের খেলোয়াড়রা ১৭২ টি গোল করে সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে! এবারের আসরে একটি বিতর্কিত নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে স্প্যানিশ রেফারি অ্যান্তোনিও মাতু লাহোজ। কোয়াটার ফাইনালে নেদারন্যান্ডস-আর্জেন্টিনার ম্যাচ চলাকালে উভয় দলের ১৮ জন খেলোয়াড়কে হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন! পরে অবশ্য তাকে আর কোনো ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
ফুটবল একটি সমষ্টিগত খেলা। এখানে একক নৈপুণ্যতা ও দক্ষতার কোনো সুযোগ নেই। একজন খেলোয়াড়কে ক্লাবের মতো জাতীয় দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের সাথে আন্তরিকতা, সমঝোতা, বোঝাপরা ও আস্থা বজায় রাখতে হয়। এর ঘাটতি হলেই তারকা খেলোয়াড়রা ফর্ম থাকার পরও দল থেকে ছিটকে পরে। এবারের আসরে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন অনেকেই। তাই তো দেখা গেছে, এবারের বিশ্বকাপের ২২ তম আসর থেকে ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে আসা উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেজ, পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, বেলজিয়ামের লুকাকু, পোল্যান্ডের লেভানদোভস্কি, ইংল্যান্ডের হ্যারিকেন, ব্রাজিলের নেইমার, জার্মানির থমাস মুলারকে বিদায় নিতে হয়েছে ভেজা চোখে।
বিশ্বকাপ ফুটবলে ইতালির জিয়েনলুকা ভিয়েল্লি, বোবের্টো ডোনাডোনি, পাওলো রসি, পাওলো মালদিনি, রবার্ট ব্যজিও, দিনো জফ, আর্জেন্টিনার দিয়োগো ম্যারাডোনা, ক্যানিজিয়া, গ্যাব্রিয়েল বাতিস্ততা, ক্যামেরুনের ক্যানা বায়িক, ওমান বায়িক, রজার মিলার, স্টিফেন তাতো, উরুগুয়ের দিয়াগো ফুরালান, ব্রাজিলের জিকো, সক্রেটিস, ফেলকাউ, রোমারিও, বেবেটো, ডুঙ্গা, জার্মানির রুডি ভোলার, ব্রেহেম, লোথার ম্যাথুজ, জুর্গেন ক্লিসম্যান, অলিভার কান, কলম্বিয়ার কার্লোস ভ্যালডেরামা, স্পেনের মিকুয়েল মিশেল, বেলজিয়ামের এনজো সিফো, উরুগুয়ের এনজো ফ্রান্সেসকোলি, ইংল্যান্ডের গ্যারি লিনেকার, পিটার শিল্টন, ডেভিড ব্যাকহ্যাম, মাইকেল ওয়েন, নেদারল্যান্ডের রুড গুলিট, ফ্রাঙ্ক রাইকার্ড, মার্কোভ্যান বাস্টেন, রোনাল্ড কোয়েম্যান, পোল্যান্ডের বনিয়েক, প্যারাগুয়ের জোসে লুইস চিলাভার্ট, চিলির ইভান জমেরানো, মার্সেলো সালাস, সুইডেনের টমাস ব্রোলিন, মার্টিন ডাহলিন, ক্রোয়েশিয়ার ড্যাবর সুকের, ফ্রান্সের মিশেল প্লাটিনি, টিগানা, এমরস, জিনেদিনে জিদান, তুরস্কের হাসান সাস, পর্তুগালের লুইস ফিগো এবং মক্কোর মোস্তফা হাজি এসব তারকা খেলোয়াড়দের যে চোখ জুড়ানো ক্রীড়াশৈলী দেখেছি-সে রকম `ফেয়ার`
ও নান্দনিক ফুটবল কোথায় যেন হারিয়ে গেছে!
আগেকার খেলোয়াড়রা মাঠে আসতেন ক্রীড়া নৈপুণ্য ও দক্ষতা দেখাতে, তার দলকে জেতাতে। কিন্তু আজকালকার অনেক খেলোয়াড়ের আচরণ দেখে মনে হয় তাদের মাঠে আসার উদ্দেশ্য আলাদা। তাদের গ্ল্যামার প্রদর্শনটা খেলার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চুলের বিভিন্ন রকমের কাটিং আর রঙের ব্যবহার দেখে প্রশ্ন জাগে-তারা খেলতে না নিজেকে প্রদর্শন করতে এসেছে? খেলার সময় সুযোগ পেলেই তারা লক্ষ করে, ক্যামেরা তাকে ধারণ করেছে কিনা? খেলার সময় যদি তার অন্য জায়গায় খেয়াল থাকে, তা হলে খেলার প্রতি তার মনোযোগ হবে কিভাবে? এখন `ফেয়ার প্লে`-র কথা বলা হয়। কিন্তু বাস্তবে কি তা হচ্ছে? খেলার সময় এখন ধাক্কাধাক্কি আর একজন আরেকজনকে আক্রমনের দৃশ্য প্রতিনিয়ত দেখা যায়। অনেক সময় রেফারির সাথে অযুক্তিক ও অর্থহীন কথায় জড়িয়ে পরে। ফুটবলের চেয়ে যেন প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের শরীরে আক্রমনেই এখন আগ্রহ অনেক বেশি। সংগত কারণে প্রশ্ন আসে-ফুটবলের দর্শক বা ফুটবলভক্ত দেশের নাগরিক হিসেবে আপনি নিজেই কি কাঙ্ক্ষিত ফুটবল-নৈপুণ্য দেখতে পাচ্ছেন? আপনার প্রিয় দল বা প্রিয় খেলোয়াড়ের কাছে আপনার যা প্রত্যাশা,তা কি পূরণ হচ্ছে? আমার মনে হয় হচ্ছে না। সাত্যিকার অর্থে সারা বছর ক্লাব ফুটবল নিয়ে খেলোয়াড়রা যতটা ব্যস্ত থাকেন, সে হিসেবে স্ব স্ব দেশের জাতীয় দলটির জন্য ততটা মনোযোগী থাকেন না। তাদের জন্য জাতীয় ফুটবল দলের চেয়ে ক্লাব ফুটবলই বেশি লাভজনক। বিশ্বকাপের আগে নিজের দেশের দলটির জন্য মাত্র ১৫ দিন থেকে ৩০ দিন সময় তারা দিয়ে থাকেন। এই অল্প সময়ের মধ্যে তাদের মাঝে পরস্পরের প্রতি আস্থা-বোঝাপরা ও আন্তরিকতার সৃষ্টি হয় না। যে কারণে ক্লাব পর্যয়ে প্রতিটি খেলোয়াড় যেমন নিপুণতা ও দক্ষতা দেখাতে পারেন, জাতীয় দলে সেই রকম নৈপুণ্য দেখাতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হন। সুতরাং এটি বিশ্বকাপের মতো বিশাল আয়োজনের জন্য মোটেও যথেষ্ট নয়।
বিশ্বব্যাপী ফুটবল ক্লাবগুলির নিয়ন্ত্রণ এখন ফুটবল সংগঠকদের পরিবর্তে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের অধীনে চলে যাচ্ছে। এর প্রভাবে ফুটবল তার নান্দনিকতা হারাচ্ছে। কারণ এখানে চিত্তবিনোদন ও নান্দনিক ফুটবল মুখ্য নয়, প্রধান উদ্দেশ্য অধিক মুনাফা অর্জন। বস্তুত অঢ়েল অর্থ হাসিলের লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগের জন্য খেলাধুলাকে বেছে নিচ্ছেন। এই ব্যবসায়ীরা খেলাধুলা সমগ্রী বেচা-কেনার পাশাপাশি কোচ নিয়োগ, মিডিয়া স্বত্ব, বিজ্ঞাপন, ট্রাভেলিং এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তারাকা খেলোয়াড়কে এক ক্লাব থেকে আরেক ক্লাবে বিক্রি করে দিচ্ছেন! এতে খেলোয়াড়দের টাকার প্রতি লালসা বাড়ছে। টাকা কামানোর জন্য বড় বড় কোম্পানির বিজ্ঞাপনের দিকে বেশি ঝোঁকছে। ফলে তার নিত্যদিনকার প্র্যাকটিসে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। আগেকার খেলোয়াড়দের মধ্যে এ ধরনের প্রবণতা তেমন ছিল না। সুতরাং এধরনের প্রবণতা নান্দনিক ফুটবলের জন্য অশনি সংকেত বটে।
একজন ফুটবলভক্ত ও দর্শক হিসেবে ১৯৭৮ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত আমি স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখেছি। সময়-সুযোগ পেলে এখনো স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখি। তবে বিশ্বকাপ ফুটবলের সাথে আমার সম্পর্ক গড়ে ওঠে ১৯৮২ সাল থেকে। তখন বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহের মাধ্যমে টিভিতে বিশ্বকাপের অধিকাংশ ম্যাচ সরাসরি দেখানো হতো। আর ১৯৮৬ সাল থেকে টিভিতে বিশ্বকাপের সবগুলি ম্যাচ সরাসরি প্রচার শুরু হয়। এখনো রাত জেগে বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচ দেখার চেষ্টা করি। দেখতে বসেই নানাভাবে হতাশ হচ্ছি! আর ভাবছি, যেই হারে ফুটবলের জৌলুস ও চাকচিক্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই হারে ফুটবলের নিপুণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে না। মনে হচ্ছে প্রতি চার বছর পর পর একটি নিদির্ষ্ট হারে ফুটবল তার নৈপুণ্য ও নান্দনিকতা হারাচ্ছে!
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের জুন-জুলাইতে আন্তর্জাতিক ফিফা বিশ্বকাপের ২৩ তম আসর হবে। কানাডা, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই তিন দেশ যৌথভাবে ফিফা বিশ্বকাপ এর ২৩ তম আসর আয়োজন করবে। শোনা যাচ্ছে, উক্ত আসরে ৩২ টি দলের সাথে নতুন ১৬ টি দল অংশগ্রহন করবে। এটা একটি খুশীর সংবাদ বটে। উক্ত ৪৮ টি দলকে ১৬ টি গ্রুপ করে ৩ টি দল করা হবে এবং প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নরা খেলবে সেরা ১৬ তে।
আশাহীন-ভরসাহীন মানুষ স্বপ্ন দেখে আগামীর সময় সাজায়। ফুটবলপ্রিয় আমিও তাই। যদি বেঁচে থাকি, তাহলে আজ থেকে চার বছর পর ফিফা বিশ্বকাপের ২৩ তম আসর উপভোগ করব। উক্ত আসরে ৪৮ টি দেশের নান্দনিক ও ছন্দময় ফুটবল দেখার প্রত্যাশায় রইলাম।
খায়রুল আকরাম খান
ব্যুরো চীফ : দেশ দর্শন
Some text
ক্যাটাগরি: Uncategorized