বৃহস্পতিবার বিকাল ৪:০০, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ খবর:
বন্যার্তদের জন্য জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আলোচনাসভা ও দোয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া আয়কর আইনজীবী সমিতির অভিষেক ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত ২৮ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা একাডেমিতে ‘মাতৃভাষা উৎসব’ ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বোর্ড নির্বাচন অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পোস্টারে লেমিনেশন ও পলিথিন ব্যবহাররোধে স্মারকলিপি ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর জাতীয় পার্টি: চুন্নু মাতৃভাষা একাডেমিতে কবিতা আড্ডা অনুষ্ঠিত হোমিওপ্যাথিক হেলথ এন্ড মেডিকেল সোসাইটি ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়া সম্মেলন অনু‌ষ্ঠিত ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়ার বিখ্যাত বাইশমৌজা বাজার ও গরুর হাট ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়ায় তরুণ আলেমদের ২য় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত তরুণ আলেমদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ইসলাম তরবা‌রির জো‌রে প্রতি‌ষ্ঠিত হয়‌নি: আলেমদের সঙ্গে মোকতা‌দির চৌধুরী

মুহুরীনির্ভর আদালত ন‍্যায়বিচারের প্রতিবন্ধক

ইমতিয়াজ সৌরভ

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ১৯৭২ অনুসারে আইনজীবী ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির মামলা দায়ের/পরিচালনা করার সুযোগ নাই। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো মুহুরীরাই মক্কেলের কাছ থেকে প্রধানত মামলা গ্রহণ করে চলেছে! গত চার বছরে সিভিল কোর্টের একজন বিচারক থাকাকালীন সময়ে আমি নীচে উল্লেখিত চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছিলাম।

১. মুহুরী আদালতের অংশ নয়, শুনানীর সময় আদালতে মুহুরী থাকেন না। অথচ মামলার ফাইলিং, তদ্বির এমনকি আরজি, দরখাস্ত পর্যন্ত মুহুরীরা লিখছে, মানে যা মন চায় কোর্টে জমা দিচ্ছে। মুহুরী আইন জানা কেউ নয় তাই তার এসব বেআইনী কাজ তার মক্কেলের মামলা হারের মূল কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে। একশ্রেনীর আইনজীবী আরজি বা দরখাস্ত না পড়েই শুধু স্বাক্ষর করে কোর্টে শুনানি করতে চলে আসে। মামলার বিষয়ে কিছু জানতে চাইলে বলে মুহুরী জানে!

২. একেকদিন একেক আইনজীবী হাজিরা দিচ্ছে। কোনো ওকালতনামাও দিচ্ছে না। ধরা পড়লে বলছে অমুক আইনজীবী অসুস্থ থাকায় বা অনুপস্থিত থাকায় তার পক্ষে হাজিরা দিয়েছি!

৩. মামলায় হাজিরা দিয়ে আইনজীবী একবার ঘুরে যাবে মানে কোর্টকে দেখাবে তিনি ছিলেন, কিন্তু শুনানীর সময় গরহাজির থাকবেন। মক্কেলের ক্ষতি হবে ভেবে আইনজীবীকে খবর দিয়ে এনে শুনানি করতে হয়। এর অন্যতম কারন আইনজীবী যথাযথ ফি পান নাই, মূলত মুহুরী বেশীরভাগ ফি নিয়ে ফেলেছে।

৪. ২/৩ বছর ধরে সমন জারির তদ্বির এর জন্য পড়ে থাকলেও তদ্বির করে না। খারিজ করলে দিনশেষে বিচারপ্রার্থীর ক্ষতি। অথচ আইনজীবী নিজে মনিটরিং করলে এরকম হওয়ার কথা না। এর ফলে মামলার বিচারে অস্বাভাবিক সময় লাগছে।

এরকম আরো অনেক সমস্যা আছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের পক্ষে আইনানুগ লড়াই করতে চাওয়া বিজ্ঞ আইনজীবীদের এই ব্যাপারে করার আছে অনেক কিছু।

লেখক: মো. জুনাইদ

জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা

ক্যাটাগরি: শীর্ষ তিন,  সারাদেশ

ট্যাগ:

১ কমেন্ট “মুহুরীনির্ভর আদালত ন‍্যায়বিচারের প্রতিবন্ধক

Leave a Reply