"৫. আবেদ ইবনে মাইসার রহঃ বলেন- যার মাত্র এক স্ত্রী, তার ইবাদত যথাযথভাবে আদায় হয় না।"
১. দার্শনিক ইবনে সিনা বলেন- এক স্ত্রী বিশিষ্ট পুরুষদের দেহ মন অসুস্থ থাকে। উঠতি যুবক হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে বার্ধক্য পেয়ে বসে। হরহামেশা গিরায় গিরায় ব্যথা, হাঁটু ও মেরুদণ্ডের সমস্যার অভিযোগ করে। মনের প্রফুল্লতা বিদায় নেয়। সর্বদা বন্ধুদের কাছে হা হুতাশ, অসহায় মনোভাব ও নেতিয়ে পড়ার অভিযোগ করে ফিরে।
২. কাজী ইবনে মাসউদ বলেন- এক স্ত্রীর স্বামী মানুষের মাঝে বিচারের ফায়সালা দেওয়ার মত উচ্চ ও সূক্ষ্ম মানুষিকতার অধিকারী হয় না
৩. ইবনে হাইয়্যান আত্বাওহিদী বলেন- আমি একদল এমন সুপুরুষদের কথা জানি, যারা এক স্ত্রীতে বিশ্বাসীদের সাথে বৈঠকে বসতেন না। তারা এমন লোকদেরকে আধাপুরুষ ও নগণ্য মনে করতেন।
৪. ইতিহাসবেত্তা ইবনে খালদুন বলেন – ফেতনা ফাসাদে জর্জরিত জাতিদের সমস্যাগুলো যখন আমি পর্যবেক্ষক করলাম, দেখলাম- তাদের অনুন্নত চিন্তা ও দুর্বল মনোবৃত্তির পিছনে তাদের এক স্ত্রীতে অভ্যস্ত হওয়ার সমস্যাই প্রধান।
৫. আবেদ ইবনে মাইসার রহঃ বলেন- যার মাত্র এক স্ত্রী, তার ইবাদত যথাযথভাবে আদায় হয় না।
৬. খলিফা হারুনুর রশিদের ছেলে খলিফা মামুনকে বলা হলো- বসরায় কতেক গোত্র রয়েছে, যেখানকার পুরুষরা এক স্ত্রীতে বিশ্বাসী। মামুন বললেন- তারা পৌরুষে কামেল নয়। প্রকৃত পুরুষদের একাধিক স্ত্রী থাকে। তারা স্বভাবজাত পৌরষের বিরুদ্ধে এমনকি তারা নবীর সুন্নাহ বিরোধীও।
৭. ইউনুছ বিন মুজানীকে বলা হলো- ইহুদী খৃষ্টানরা কেন একাধিক স্ত্রীকে অস্বীকার করে? তিনি বললেন- তারা হলো এমন জাতি – (وَضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ الذِّلَّةُ وَالْمَسْكَنَةُ وَبَاءُوا بِغَضَبٍ مِّنَ اللَّهِ… আর তাদের উপর আরোপ করা হল লাঞ্ছনা ও পরমুখাপেক্ষিতা। তারা আল্লাহর রোষানলে পতিত হয়ে ঘুরতে থাকল।…) -সূরা বাকারাহ: ৬১
“৪. ইতিহাসবেত্তা ইবনে খালদুন বলেন – ফেতনা ফাসাদে জর্জরিত জাতিদের সমস্যাগুলো যখন আমি পর্যবেক্ষক করলাম, দেখলাম- তাদের অনুন্নত চিন্তা ও দুর্বল মনোবৃত্তির পিছনে তাদের এক স্ত্রীতে অভ্যস্ত হওয়ার সমস্যাই প্রধান।”
৮. আবু মারুফ কারখীকে রহঃ বলা হলো- দুনিয়া ত্যাগীদের ব্যাপারে আপনার মতামত কি? যারা এক স্ত্রীকেই যথেষ্ট মনে করে। তিনি বললেন- আর কি! এরা পাগলের দল! দুনিয়া বিমূখতায় তারা নিজেরা এমন স্তরে পৌঁছে গেছে মনে করে, যেখানে একাধিক স্ত্রীর অধিকারী আবু বকর, ওমর, ওসমান, আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুম মত মনীষীরাও পৌঁছাতে পারেনি!
৯. ইবনে ফাইয়্যাদকে এক স্ত্রীতে বিশ্বাসী পুরুষদের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন- তারা পানাহার করে, শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে ঠিক, কিন্তু তারা মৃত।
১০. ইবনে ইসহাক যখন নিশাপুরের গভর্নর হলেন, তখন তিনি এক স্ত্রীর স্বামীদের রাষ্ট্রীয় অনুদান বন্ধের নির্দেশ দিলেন। তারা অভিযোগ করে বলল- আপনি এমনটা কেন করলেন? তিনি বললেন- এসব আল্লাহর মাল, অকর্মণ্য বেকুবদেরকে এসব দেওয়া হয় না।
১১. ইবনে আতাউল্লাহ এক স্ত্রীওয়ালা পুরুষদের ব্যাপারে বলেন- যারা বড়দের (নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবীগণ) সুন্নাহের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে পারে না, আমরা তাদেরকে নগণ্য ও পুছকে মনে করি।
১২. আল্লামা ত্বকিউদ্দীন মুজানী রহঃ যখন সমরকন্দের “ফকীহ ” পদে অধিষ্ঠিত হলেন, তখন লোকেরা তাঁকে এক স্ত্রী বিশিষ্ট পুরুষদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করল। তিনি বললেন- তারাও কি মুসলমান! (তিনি তাদের ঈমানের পূর্ণতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন) তখন তিনি তাদেরকে নসীহাহ করে পরামর্শ দিলেন। দেখা গেল একমাসও পার হয়নি এরই মাঝে প্রায় তিন হাজার পুরুষ তাদের মাসনা সেরে ফেলল! পরিস্থিতি এক পর্যায়ে এমন দাঁড়ালো যে- অত্রাঞ্চলে কোন কুমারী, অকুমারী, বিধবা আর অবশিষ্ট রইল না। (সুবহান আল্লাহ)
১৩. ইমাম হোসরী রহঃ বলেন- আল্লাহ যখন বিবাহ নীতির কথা আলোচনা করেছেন, তখন মাসনা দিয়ে শুরু করেছেন- ওয়াহিদা দিয়ে শুরু করেননি বরং ওয়াহিদার স্বামীদেরকে ” খিফতুম” শব্দ দ্বারা ভীতুদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে তাদের অসম্পূর্ণতার জানান দিয়েছে৷
নেট থেকে সংগৃহীত
ক্যাটাগরি: ধর্ম-দর্শন-বিজ্ঞান, প্রধান খবর, শীর্ষ তিন