অনেক সাংবাদিক সামগ্রিকভাবে ৫৭ ধারার বিরোধিতা করলেও কেবল ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে কারো কারো ব্যাপারে এ ধারাটির প্রতি জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করছেন, একটা রাষ্ট্রের জন্য এটা আরো বেশি খারাপ।
৫৭ ধারা। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি বাকরুদ্ধ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে গত ১ তারিখ, নবীনগর থানায়। ২ তারিখই তাকে সদর থানায় আটকে ফেলতে চেয়েছিলেন সদর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন। অথচ পরবর্তী সংবাদ ও অনুসন্ধানে প্রকাশ, মামলার বাদী মামলা করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
বাদীর এই অস্বীকারের রেকর্ড সাংবাদিকদের কাছে আছে। তবে তিনি এখন আবার উল্টে গিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। যা হোক, যদিও ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি দিন দিন পোক্ত হচ্ছে, কিন্তু এরই মধ্যে পুলিশও এর শেষ সুযোগ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। এটা রাষ্ট্রের জন্য ভালো লক্ষ্মণ নয়।
অপরদিকে অনেক সাংবাদিক সামগ্রিকভাবে এর বিরোধিতা করলেও কেবল ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে কারো কারো ব্যাপারে এ ধারাটির প্রতি জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করছেন, একটা রাষ্ট্রের জন্য এটা আরো বেশি খারাপ। তাই আমরা বলব, বিষয়গুলো নিরপেক্ষভাবে খতিয়ে দেখা হোক।
মামলা, পাল্টা মামলা, বিবৃতি, উসকানী ইত্যাদি সমর্থনযোগ্য নয়। যথাসম্ভব এর নৈতিক ও সামাজিক সমাধানটি বের করতে হবে
আরেকটি বিষয়, মামলা, পাল্টা মামলা, বিবৃতি, উসকানী ইত্যাদি সমর্থনযোগ্য নয়। যথাসম্ভব এর নৈতিক ও সামাজিক সমাধানটি বের করতে হবে। যে যত দোষই করুক, একটি জেলাশহরে নিশ্চয় এমন ব্যক্তিত্ব অনেকেই আছেন যারা এর সুন্দর সমাধান করতে পারেন। আমি সেটিই কামনা করি। ওই শহরটি একইসঙ্গে আমার জন্মশহর, শিক্ষাশহর এবং দীর্ঘদিনের কর্মক্ষেত্র।
কারো সঙ্গে আমার বক্তিগত শত্রুতা নেই। আবেগ এবং পক্ষপাতিত্বও নেই। তবে আমার পর্যবেক্ষণ আছে। সেসব নিয়ে পরে বিস্তারিত লিখতে চেষ্টা করব। এখন আপাতত এতটুকু বলে রাখি, সেই সাংবাদিকের খুব একটা দোষ আমি দেখছি না। এটা দৃঢ়ভাবেই বলতে পারি।
গত ক’দিন আগে ইউএনও গ্রেফতারের ঘটনায় বরিশাল-বরগুনার ডিসি প্রত্যাহার, ছাগলের ঘটনায় গ্রেফতার নিয়ে ডুমুরিয়ার ওসি প্রত্যাহার, এরই মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার ওসির এই কাণ্ড! লেখা: ৫ আগস্ট ২০১৭
জাকির মাহদিন: সম্পাদক, দেশ দর্শন
zakirmahdin@gmail.com
ক্যাটাগরি: অপরাধ-দুর্নীতি, মিনি কলাম, সম্পাদকীয়, সম্পাদকের কলাম