“তিনি বলেন, ‘মৌখিক ভাষা’ এবং ‘অস্তিত্বগত ভাষায়’ মৌলিক পার্থক্য আছে। আবার ‘অস্তিত্বগত ভাষা’ এবং ‘মানবিক অস্তিত্বগত ভাষায়ও’ মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান।”
‘বাংলা’ আমাদের মুখের ভাষা, মানবিক সত্তা বা অস্তিত্বের ভাষা নয়। তেমনি আমাদের মায়েরও মৌখিক ভাষা বাংলা, অস্তিত্বগত বা সত্তাগত ভাষা বাংলা-ইংরেজি-আরবি কিংবা উর্দু-ফার্সি নয়। সুতরাং না-বুঝে ‘মাতৃভাষা বাংলা’ বলে ফেললেই হবে না, বরং ‘মাতৃভাষা’ বলতে এখানে কী বোঝানো হচ্ছে সেটা সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। অন্যদিকে ভাষার এই মৌলিক দুটো প্রকার ও পার্থক্য না জানলে ‘ভাষা-সাহিত্য-সাংবাদিকতা’ নিয়ে কথা বলার অধিকার কারো নেই। এমনটাই মনে করেন তরুণ সাংবাদিক, কলামিস্ট গবেষক ও দেশ দর্শন সম্পাদক জাকির মাহদিন।
গতকাল শুক্রবার ১৯ আগস্ট রাজধানীর সাইনবোর্ড এলাকায় মাদরাসাতুল ফুনুনে ‘আদ দাঈ সাহিত্য একাডেমি’ কর্তৃক আয়োজিত ‘ভাষা সাহিত্য সাংবাদিকতা’ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মৌখিক ভাষা’ এবং ‘অস্তিত্বগত ভাষায়’ মৌলিক পার্থক্য আছে। আবার ‘অস্তিত্বগত ভাষা’ এবং ‘মানবিক অস্তিত্বগত ভাষায়ও’ মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান। অস্তিত্বগত ভাষা বিশ্ব ও মহাবিশ্বের প্রতিটি প্রাণী পদার্থ এবং উদ্ভিদের সবার আছে। কিন্তু বিশেষ মৌখিক ভাষা ও মানবিক অস্তিত্বগত বা সত্তাগত ভাষা কেবল মানুষেরই আছে, অন্য কিছুর বা অন্য কারও নেই।
আরো পড়ুন> শুক্রবার আদ-দাঈর কোর্সে জাকির মাহদিনের ক্লাস
তিনি আরো বলেন, মায়ের পেটে ও জন্মের পরপর বিভিন্ন দেশ-জাতির মানবসন্তানের মৌখিক কোনো আলাদা ভাষা থাকে না। পৃথিবীর সব শিশুর হাসি-কান্না একই ভাষায়। এ ভাষার আলাদা আলাদা কোনো নাম নেই। এছাড়াও মানবিক অস্তিত্বগত একটা ভাষা থাকে, যা পৃথিবীর সমস্ত মানবজাতির একই। এতে কোনো ভেদাভেদ ও পার্থক্য নেই। আবার বিভিন্ন দেশ জাতির মানব সন্তান বড় হবার পর আলাদা আলাদা ভাষায় মৌখিকভাবে কথা বললেও শারীরিক ভাষা সবার একই, সর্বজনীন। হাসি-কান্না, রাগ-ক্ষোভ, আনন্দ-বেদনার ভাষা সবার এক।
ভাষা ছাড়াও তিনি বাস্তবতা, সাহিত্য ও সাংবাদিকতা বিষয়ে কিছু তাত্ত্বিক ও বিশ্লেষণধর্মী কথা বলেন। পাশাপাশি পড়াপড়ি, লেখালেখি ও ব্যবহারিক বিষয়ে কিছু বুনিয়াদি প্রশিক্ষণও প্রদান করেন।
ক্যাটাগরি: ধর্ম-দর্শন-বিজ্ঞান, প্রধান খবর, বিশেষ প্রতিবেদন, শীর্ষ তিন, সারাদেশ