“অপচয় না করে যদি নিজেদের পুরনো কাপড়গুলো কষ্ট করে ধুয়ে ও ইস্ত্রি করে এখানে রেখে যান, তাহলে অনেকেই অতিসহজে ও বিনামূল্যে এখান থেকে প্রয়োজনীয় পোশাকের চাহিদাটা পূরণ করতে পারেন।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত ও বিখ্যাত তিতাস নদী সংলগ্ন অনন্য গ্রাম- ‘শিমরাইলকান্দি’র হাজীবাড়ি রোডে (মানব গলি) অত্যন্ত ছোট্ট পরিসরে আজ মঙ্গলবার উদ্বোধন হয়েছে মানবতার ছোঁয়া নামক একটি কার্যক্রম। যেখানে বিভিন্ন ব্যক্তি ও পরিবারের পুরনো অব্যবহৃত ও ভালো পোশাকগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় দিয়ে যাবে এবং যাদের প্রয়োজন তারা বিনামূল্যে সেখান থেকে নিয়ে যাবে।
দীর্ঘদিনের পরিকল্পনামতো শিমরাইলকান্দিতে এটি শুরু করেন তরুণ সাংবাদিক, কলামিস্ট ও দেশ দর্শন সম্পাদক জাকির মাহদিন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, মানুষের মানসিক পরিশুদ্ধি এবং শিক্ষাগত, চিন্তাগত ও জ্ঞানগত উন্নয়ন কার্যক্রমের পাশাপাশি অর্থকষ্টে জড়িত ব্যাপক জনগোষ্ঠীর ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা করাও অপরিহার্য। সে লক্ষ্যেই এমন কার্যক্রম হাতে নেয়া।
তিনি বলেন, লক্ষ করলে দেখা যায়, উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত প্রায় প্রতিটা ঘরেই এমনকি একান্ত ধার্মিক পরিবারটিতেও কাপড়চোপড়ের প্রচুর অপচয় হয়। দামি দামি পোশাক তারা কিছুদিন ব্যবহার করেই ময়লার বালতিতে ফেলে দেন। অথচ অন্যদিকে বাংলাদেশে আজও লক্ষ লক্ষ ব্যক্তি ও পরিবার আছে, যারা টাকা-পয়সার অভাবে নিজেদের ও পরিবারের প্রয়োজনীয় কাপড়চোপড় কিনতে পারেন না। তো অপচয়কারীরা অপচয় না করে যদি নিজেদের পুরনো কাপড়গুলো কষ্ট করে ধুয়ে ও ইস্ত্রি করে এখানে রেখে যান, তাহলে অনেকেই অতিসহজে ও বিনামূল্যে এখান থেকে প্রয়োজনীয় পোশাকের চাহিদাটা পূরণ করতে পারেন। এতে কারো কোনো খরচ হল না, কিন্তু উভয়েরই উপকার হল। দেশ-সমাজেও বৈষম্য কিছুটা কমল।
তিনি আরো বলেন, তিনি তার সামর্থ্য অনুযায়ী এটি করেছেন। কিন্তু তার ইচ্ছে, প্রাথমিকভাবে অন্তত তার গ্রাম শিমরাইলকান্দির হাজীবাড়ি রোডটিকে শিক্ষাগত ও মানবিক বিভিন্ন কার্যক্রম দিয়ে সাজানো। যেন এটা ‘মানব গলি’ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। এ থেকে আজকের শিক্ষিত যুবসমাজ অন্তত নিজেদের গ্রাম ও পাড়া-মহল্লাকে এসব কাজের মাধ্যমে সাজিয়ে তোলার একটা শিক্ষা পাবে।
তিনি জানান, যে কেউ নিজের গ্রাম ও পাড়া মহল্লায় এমন কার্যক্রম হাতে নিতে চাইলে তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। সুতরাং যাদের যে সামর্থ্য আছে, তারা যেন এসব কাজের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন।
ক্যাটাগরি: প্রধান খবর, বিশেষ প্রতিবেদন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শীর্ষ তিন