শিক্ষাক্ষেত্রে স্বল্পতম খরচে শিক্ষার সর্বাধিক বিস্তার ঘটানো এবং ঘরে ঘরে স্বউদ্যোগে শিশুদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা নিশ্চিত করতে “একটি বাড়ি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান” রূপকল্প গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।
শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম ও শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা করার লাগাম টেনে ধরতে “একটি বাড়ি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান” রূপকল্প নিয়ে ‘শিখো-শিখাও’ পদ্ধতিতে নতুন মডেলের শিক্ষাব্যবস্থা ও স্কুল প্রস্তাব করছেন সমাজগবেষক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট জাকির মাহদিন।
তিনি বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে ‘শিখো-শিখাও’ পদ্ধতিটা সর্বাধিক কার্যকর, অর্থসাশ্রয়ী, সর্বনিম্ন সময় ও শ্রমসাপেক্ষ। এটাকে উচ্চশিক্ষার পাঠ্যপুস্তকের ভাষায় ‘সতীর্থ শিখন’ পদ্ধতি বলে। তবে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, দক্ষতা ও আন্তরিকতার অভাবে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ পদ্ধতির উপস্থিতি নেই।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে ও বাংলাদেশে করোনাকালীন এ সময়টিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। আবার দূর-দূরান্তের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত উপস্থিতিও অনিশ্চিত এবং ঝুঁকিপূর্ণ। পৃথিবী কবে কখন স্বাভাবিক হবে এর কোনো ঠিক নেই। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে স্বল্পতম খরচে শিক্ষার সর্বাধিক বিস্তার ঘটানো এবং ঘরে ঘরে স্ব-উদ্যোগে শিশুদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা নিশ্চিত করতে “একটি বাড়ি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান” রূপকল্প গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি জানান, ২০০৩ সাল থেকে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনি এ পদ্ধতি সফলভাবে প্রয়োগ করেছেন এবং ভালো ফলাফলও পেয়েছেন। তারপর এ পদ্ধতির আরো উন্নয়ন ও দক্ষতা বিকাশের জন্য তিনি এখনো পর্যন্ত এ পদ্ধতিটি নিয়ে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা নিরীক্ষা অব্যাহত রেখেছেন। এরই মধ্যে এ পদ্ধতিতে সারাদেশে নতুন মডেলের অনেকগুলো স্কুল প্রতিষ্ঠার লক্ষে দেশ দর্শন ইন্সটিটিউট নামে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, এর জন্য প্রথম শর্ত- শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, পরিবর্তনকামিতা, আন্তরিকতা ও উদ্যোক্তা হওয়ার মানসিকতা। এগুলো থাকলে তেমন পুঁজি ও অবকাঠামোর দরকার নেই। যার যা আছে তাই নিয়ে শুরু করতে পারে। তবে তার আগে পূর্বপ্রস্তুতিমূলক শিক্ষার সংজ্ঞা, উদ্দেশ্য ও মৌলিক দর্শনগুলো উপলব্ধি করার অনুরোধ করেন। এসব নিয়ে তিনি গত তিন বছর আগে ইউটিউবে একটি ভিডিও আপলোড দিয়েছেন। সবাইকে এটি শোনার অনুরোধ জানান।
ক্যাটাগরি: ধর্ম-দর্শন-বিজ্ঞান, প্রধান খবর, ভিডিও নিউজ, শীর্ষ তিন, সম্পাদকের কলাম, সারাদেশ